সফলতা কে না চায়? কিন্তু সফলতা তো আর হাতের মোয়া নয়, যে চাইলেই পাওয়া যাবে। এটার জন্য করতে হবে কঠোর পরিশ্রম। কষ্টসাধ্য নিয়ম-কানুনেন মধ্য দিয়ে করতে হবে জীবন-যাপন। সফল ব্যক্তিরা বেশ কয়েকটি জিনিস মেনে চলেন। আপনাকে কঠিন কাজগুলো করতে হবে। যে কাজটি করতে আপনি ভয় পান সেই কাজটিই আগে শুরু করুন।

এক্ষেত্রে সবার আগে মনে পড়বে স্কুল জীবনের ভাব-সম্প্রসারণের কথা। ‘ছোট ছোট বালু কণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল’। অর্থাৎ জীবনে প্রতিষ্ঠিত ও বড় হতে চাই ছোট ছোট পদক্ষেপ। কিন্তু না বাস্তব জীবনে তার মিলটা কমই, বরং সফল হতে চাই বড় বড় পরিকল্পনা ও ঝুঁকি। কারণ ক্ষুদ্র-পরিকল্পনাকারীরা অনেক সময়ই সফল হয় না বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এজন্য করণীয় কি কি?

১. ঝুঁকি গ্রহণ ও পরিকল্পনা: উদ্যোক্তাদের তুলনায় ক্ষুদ্র-পরিকল্পনাকারীরা কখনও সফল হতে পারে না। কারণ ক্ষুদ্র-পরিকল্পনাকারীদের নতুন ও অজানা বাধা অতিক্রম করার সুযোগ কম থাকে। অন্যদিকে, উদ্যোক্তারা তাদের মেধা ও সাহসিকতা দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যায়।

২. বেশি কর্মশক্তিতেও পেতে হবে আনন্দ: শরীরচর্চায় দম বাড়ে। সাধারণ ব্যায়ামে বিরক্ত লাগলে, ইন্টারনেট থেকে ছন্দময় ব্যায়ামের কৌশল অনুসরণে শরীরচর্চা করুন। এতে সময় আনন্দে কাটার পাশাপাশি মনও ভালো থাকবে।

৩. কর্মক্ষেত্র ও ব্যক্তিজীবনে ভারসাম্য: কর্মজীবনে ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য গুরুত্ব বুঝে কাজ করতে হবে। প্রত্যেকেরই কাজের ভারসাম্য রক্ষা করার ধরন আলাদা। আত্মসংযমের মাধ্যমে কাজের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। ব্যক্তিগত সময় কাটানোর ক্ষেত্রে, কাজের চাপ থাকলেও ঠাণ্ডা মাথায় কাজের গুরুত্ব যাচাই করে তারপর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

৪. সুস্থ থাকা: সুস্থ বা ফিট থাকা এক ধরনের মানসিক অবস্থা। যখন ‘ফিট’ থাকেন তখন মনও ভালো থাকে এবং যে কোনো কাজেই বেশ উৎসাহে করা যায়। অন্যদিকে শরীর ভালো না থাকলে সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলেও অস্বস্তি লাগে। এজন্য সুস্থ থাকার ব্যপারে চেষ্টা করে যেতে হবে।

৫. কীভাবে আমি আরো কার্যকরী হব? সফলতার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া মানুষদের যে কাজে সহজেই সন্তুষ্ট হলে চলবে না। বরং প্রতি মুহূর্তেই উপযুক্ত শিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ, পরিশ্রম এবং চিন্তার মাধ্যমে নিজের নেতৃত্বগুণের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এভাবেই সবসময় নিজেকে আরো কার্যকরী ব্যক্তিত্বে পরিণত করার উপায় খোঁজেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন।